Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে বোরো আবাদ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে বোরো আবাদ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী খরস্রোতা ভোগাই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা রাবার ড্যাম কাম সেতু। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ১০ হাজার একর জমির আসন্ন বোরো আবাদ। ফলে দ্রুত রাবার ড্যামটি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে রাবার ড্যামের ফলে নদী থেকে পানি নিয়ে কৃষকেরা আবাদ করেন। প্রাথমিকভাবে আজ (বুধবার) রাবার ড্যাম ফুলানো হবে। তবে রাবার ড্যামের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছি।’

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ও মরিচপুরান ইউনিয়নের মধ্যে জামিরাকান্দা এলাকায় ভোগাই নদের ওপর ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের রাবার ড্যাম কাম সেতুটি নির্মাণ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে এই রাবার ড্যামের মাধ্যমে আট কিলোমিটার নদীর উজানে পানি মজুত করা হয়। এই পানি ১১টি খালের মাধ্যমে পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার একর আবাদি জমি সেচ সুবিধা পায়। তবে কয়েক বছর ধরে রাবার ড্যামের ভাটিতে ইটের গাঁথুনির কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় গাঁথুনি ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

এ ছাড়া নির্মাণের পর থেকেই নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হলেও ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো কমিটি নেই। বর্তমানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও সমবায় কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে তিন সদস্যের কমিটির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

উপজেলার কোন্নগর গ্রামের কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, ‘রাবার ড্যাম ও সেতুটি নির্মাণ করার ফলে আমরা অনাবাদি জমিতে ফসল আবাদ করতে পারছি, আর সেতু দিয়ে সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারছি। এতে দুই দিক দিয়েই আমরা লাভবান হয়েছি। তবে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তোলায় রাবার ড্যামের ভাটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানাই।’

রাবার ড্যামে তদারকির দায়িত্বে থাকা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগে ছয়জন কর্মচারী ছিল। এখন আমি একাই কাজ করি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। অবৈধভাবে বালু তোলায় সেতু ও রাবার ড্যাম ধ্বংসের পথে। বারবার বলার পরেও বালু তোলা বন্ধ হচ্ছে না।’

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আমীর হোসেন বলেন, ‘রাবার ড্যামটি একটি নির্বাচিত পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় কার্যাবলি চলার নিয়ম। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো নির্বাচিত কমিটি নেই। বর্তমানে কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক ও আমাকে সদস্যসচিব করে একটি কমিটির মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ