সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এলজিইডির নির্মাণাধীন সড়ক ও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনকারী অনুমোদনহীন ট্রাক্টর, মাহিন্দ্রা ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যান। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের কাছে এসব অনুমোদনহীন যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সড়কে এই যান চলাচলের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাহেবরামপুর-মোল্লারহাট ও ভূরঘাটা-শশিকর সড়কের অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্তে পানি-কাদা জমে একাকার অবস্থা। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। প্রায়ই ইজিবাইক, অটোরিকশার চাকা গর্তে আটকে যায়। ময়লা পানি গিয়ে পড়ে পথচারীর গায়ে।
কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে অনুমোদনহীন বালু ও ইটবাহী মাহেন্দ্রা, ট্রাক্টর ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি। এতে সড়ক সংস্কারের কিছুদিন পরেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সৃষ্টি হয় খানাখন্দের। ফলে ভোগান্তিতে পরতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
সাহেবরামপুর-মোল্লারহাট ও ভূরঘাটা-শশিকর সড়ক দুই থেকে তিন বছর আগে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু দুই উপজেলাজুড়ে পুকুর খনন করে সেই মাটি ইটভাটায় বহন করা হচ্ছে। এই অতিরিক্ত ওজনের মাটি, ইট ও বালু নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০টি ট্রাক্টর সড়কে চলাচল করছে।
ব্যাটারিচালিত ভ্যানের কয়েকজন চালক বলেন, মাটি ও বালু বহনকারী ট্রাক্টর চলার কারণে সাহেবরামপুর-মোল্লারহাট ও ভূরঘাটা-শশিকর সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে পানি থাকায় তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
উপজেলার গোপালপুর এলাকার মাহবুবুর রহমান বলেন, এস গাড়ির জন্য মারাত্মক শব্দদূষণ ও ধুলাবালির কারণে সড়কসংলগ্ন বাড়িতে বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, এসব গাড়ির চাকায় কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। তবে এসব যান চলাচল বন্ধ করা গেলে সড়ক দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরা হবে।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমিন বলেন, ‘অনুমোদনহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, অনুমোদনহীন ইট, বালু ও মাটিবাহী মাহেন্দ্রা, ট্রাক্টর ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।