Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

শুধু কীটনাশক দিয়ে এডিস নিধন কঠিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুধু কীটনাশক দিয়ে এডিস নিধন কঠিন

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। শুধু কীটনাশক দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উৎস নিধনই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদ্ধতি। তাই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। বাসাবাড়িতে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা জন্মাচ্ছে। অথচ লাখ টাকা জরিমানা করলেও অনেকে সচেতন হচ্ছেন না। নিজ নিজ বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে মশকনিধন কার্যক্রম সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গতকাল বুধবার ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ডুরা সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, রাজধানীর কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে যে জরিমানা করা হয়, তা ঢাকাবাসীর সয়ে গেছে। লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও আবর্জনা ও পানি জমা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের মশকনিধনকর্মীরা যখন অভিযানে যান, তখন অনেকেই তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা গত বছর ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা করেছি। এত জরিমানা করার পরেও মানুষের মধ্যে সয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখি। জরিমানা কাজে লাগে না। নগরবাসী সচেতন না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’

মশকনিধনকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় জানিয়ে তাপস বলেন, ‘একবার অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, সে বাসায় একজন উপসচিব থাকেন। তিনি ওপরতলা থেকে চিৎকার করে বলছেন, “আমার বাসায় ডেঙ্গু নেই, এডিস নেই।” যখন আমাদের কর্মীরা প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, তিনি ওপর থেকে এটা-ওটা ছুড়ে মারলেন। এমনটা আমরা আশা করি না।’

বাসায় জমে থাকা পানি প্রতিদিন ফেলে দিলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মত দেন মেয়র তাপস। মেয়র অভিযোগ করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন। রোগীদের সঠিক ঠিকানা পাওয়া গেলে সেখানকার আশপাশের ৩০০ গজের মধ্যে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। ইদানীং রোগীদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ ও ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে সম্মিলিতভাবে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তাপস।

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বিশ্বে যত মহামারি সৃষ্টি হয়েছে, সেসবের অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ণ। একইভাবে ডেঙ্গু রোগের মূল কারণও নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তন; যে কারণে সিঙ্গাপুরের মতো দেশেও ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক কবিরুল বাশার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কবিরুল বাশার বলেন, কীটনাশক দিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উৎস নিধনই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম ও কার্যকর পদ্ধতি, বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার ধারণা, এডিস মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ায়। আসলে তা নয়। এই মশা রাতেও কামড়ায়। আর স্ত্রী এডিস মশা যখন ডিম পাড়ে, তখন সে রক্ত খায়।’

ডুরার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ীর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) মো. নাজমুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বক্তব্য দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীরই ২৬ জন। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৩। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রয়েছে ১০৮ জন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ