নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভোজ্যতেলের পর এবার দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় নাসিক জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়। দুই দিন আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৯ থেকে ৩০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৫ মে আমদানির অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। এ কারণেই গত দুই দিনে খাতুনগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দ্রুত আমদানির অনুমতি না পেলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বাজারে প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত দেখা গেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ না থাকলে দুই দিনেই এই পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাবে।
রহমত এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ খুব বেশি নেই। মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ আছে। তাই এখন ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়েই বাজারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এখন আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকলে বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হবে। বাজারে এখন যে পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত আছে, এগুলো দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
খাতুনগঞ্জের একাধিক আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে এখন ভারতীয় চার ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়। ইন্দুরি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮-২৯ টাকায়। দুই দিন আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৬-২৭ টাকায়। এ ছাড়া বেলডাঙ্গা ও খাশখালী জাতের পেঁয়াজ মানভেদে ২২ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের বাইরে বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকায়।