Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আপসহীনতার পরিণাম হতে পারে যুদ্ধ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপসহীনতার পরিণাম হতে পারে যুদ্ধ

প্রতিষ্ঠার ৬৯ বছর পর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার বিলুপ্তি ঘোষণা করার হয়। তার দুই বছর আগে ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়ালের পতনের মধ্য দিয়ে এক হয় পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের একটি পর্ব শেষ হয় বলে মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

চলমান ইউক্রেন সংকট, ব্যাপক অর্থ ইউরোপের নিরাপত্তাসংকট নতুন স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দিয়েছে বলে মত দিয়েছে বিশ্লেষকদের একটা দল। কিন্তু এর বিরুদ্ধমতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—না, চলমান সংকটে স্নায়ুযুদ্ধের মূল শর্ত অনুপস্থিত। তবে বিদ্যমান সংকটের মূল পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আপসহীন মনোভাব ইউক্রেনে যুদ্ধ অনিবার্য করে তুলতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের এক বিশ্লেষণে।

সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্ব তো বটেই, বিশেষত ইউরোপে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় চলমান ওই সংকটের মূল দ্বন্দ্ব ছিল, অর্থব্যবস্থা নিয়ে দুই পক্ষের ভিন্ন মত। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদ বা পুঁজির ব্যক্তি মালিকানার বিপরীতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থব্যবস্থা হাজির করেছিল সোভিয়েত রাশিয়া।

অর্থনীতি, সামরিক শক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব বর্তমানে পড়তির দিকে। চীন ও রাশিয়া এসব জায়গা দখল করছে। চীন ঘোষিত কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হলেও তাদের অর্থনীতি যথেষ্ট পরিমাণে পুঁজিবাদী, যা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদ বলে পরিচিত। আর রাশিয়া তো পুঁজিবাদী রাষ্ট্রই। অর্থাৎ ইউক্রেনসংকটে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে বলতে গেলে অর্থব্যবস্থা নিয়ে গুণগত কোনো তর্ক, প্রতিযোগিতা নেই।

এক অর্থে আদর্শিক দ্বন্দ্ব না থাকলেও যা আছে, তা যুদ্ধ বাধানোর জন্য যথেষ্ট। উদাহরণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণার কথা বলা যায়। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের প্রতিনিধিদের মধ্যে অলিখিত চুক্তি হয়েছিল, পূর্ব ইউরোপের আর কোনো রাষ্ট্রকে ন্যাটোর সদস্য করা হবে না। কিন্তু এরপর পূর্ব ইউরোপের ১১টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটটির সদস্য করা হয়।

মৌখিকভাবে করলেও সমর্থ না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের এসব হস্তক্ষেপের সামরিক প্রতিবাদ করতে পারেনি রাশিয়া। বর্তমান রাশিয়া ও বিশ্ব পরিস্থিতি দুই দশক আগের অবস্থানে দাঁড়িয়ে নেই।

পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি অনুকূলে হওয়ায় পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর আগ্রাসনের সামরিক প্রতিবাদ জানাল রাশিয়া। পশ্চিম দিক ছাড়া ইউক্রেনের তিন দিকে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ তারই প্রকাশ। রাশিয়ার এক দফা—ইউক্রেনসহ পূর্ব ইউরোপের আরও কোনো দেশকে ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না।

নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি খসড়া প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। সৈন্য প্রস্তুত রেখে রাশিয়ার দর-কষাকষি যুক্তরাষ্ট্রের আঁতে ঘা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ দাবি, আগে সৈন্য সরাও, বাকিটা পরে। কিন্তু রাশিয়া এসব আলগা কথায় বিশ্বাস করে না।

এসব কারণে উদ্ভূত সংকট সমাধানে প্রায় তিন মাসের কূটনৈতিক আলোচনা কোনো ফল আনতে পারেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে। এ অবস্থায় সসম্মানে পক্ষগুলো আপস না করলে যুদ্ধ অনিবার্য বলেও এতে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেন সংকট সম্পর্কিত খবর আরও পড়ুন:

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ