Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আফগান কি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগান কি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন

তালেবানের ক্ষমতা দখলের প্রায় চার মাস পর তীব্র খাদ্যসংকটের সম্মুখীন হচ্ছে আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষ। শীতের মৌসুম ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও গভীর হতে শুরু করেছে মানবিক এই সংকট।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অনুমান, আফগানিস্তানের প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ (দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ) বর্তমানে ‘তীব্র ক্ষুধার’ সম্মুখীন। কারণ, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে দেশটিতে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটও।

১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংক জানায়, আফগান পুনর্গঠন ট্রাস্ট ফান্ডের (এআরটিএফ) আন্তর্জাতিক দাতারা ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএফপিকে ‘সংকটময় এই সময়ে আফগানিস্তানের জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য’ ২৮ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে।

তবে মার্কিন ব্যাংকগুলোতে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৯৫০ কোটি ডলারের সম্পদ এখনো আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই এই সম্পদ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের এক সম্মেলনে বলেছেন, দেশটি এখন মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আফগান অর্থনীতি সবদিক থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যা দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে এবং তারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।

দেশটি তহবিল এবং ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আফগানিস্তানের সাহায্য সংস্থাগুলো স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য তাদের কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান সমস্যা ক্ষুধা নয়। প্রধান সমস্যা হলো, সামাজিক সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে নগদ অর্থের অভাব।

নিঃস্ব হয়ে আফগানিস্তানের হাজার হাজার মানুষ এখন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে, যাদের অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ইরানে প্রবেশ করেছে। চলতি বছরেই সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির ৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি আইএসের সহযোগী সংগঠন আইএসআইএলের ধারাবাহিক হামলা সম্প্রদায়গুলোকে আরও বিপদের মুখে ফেলেছে।

‘আমাদের খেতে দাও’

আফগানিস্তানের জব্দকৃত সম্পদ ছাড়ের আহ্বান জানিয়ে গত মঙ্গলবার কাবুলে বন্ধ থাকা মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। তালেবান সদস্যদের নিরাপত্তার মধ্যেই ‘আমাদের খেতে দাও’, ‘আমাদের জমানো অর্থ ফেরত দাও’ ইত্যাদি লেখাসংবলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা।

এদিকে কোনো রাষ্ট্রই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং নতুন শাসকদের সমর্থন না করেই তারা আফগান জনগণকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। ২০ বছর আগে নিজেদের পূর্ববর্তী শাসনামল নারীশিক্ষা, খেলাধুলা ও বিনোদন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা এবং নামাজে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছিল তালেবানরা। কার্যকর করা হয়েছিল প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডও।

কিন্তু বর্তমান তালেবান শাসন ভিন্ন হবে দাবি করে গোষ্ঠীটির নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আটকে থাকা তহবিল ছেড়ে দেওয়া এবং মানবিক বিপর্যয় রোধে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ