টাকার বিনিময়ে নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদ দিয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ত্যাগী, পরীক্ষিত ও কারা নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও দাবি জানিয়েছেন নবগঠিত কমিটির অধিকাংশ নেতা–কর্মীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটি পুনর্গঠনেরও দাবি জানানো হয়। তবে তাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবগঠিত কমিটির সদস্যসচিব মো. মঞ্জুরুল হক।
নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, হামলা-মামলার শিকার হয়ে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাঁরা পদবঞ্চিত হয়েছেন। এমন দুজনকে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের পদ দেওয়া হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে অনুপস্থিত ও বিদেশে অবস্থান করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এক প্রভাবশালী প্রবাসী নেতা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁদের এ পদ দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিতর্কিতদের শীর্ষ পদ দেওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ইতিমধ্যে আটজন যুগ্ম আহবায়কসহ অধিকাংশ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের শীর্ষ পদে রেখে কমিটি পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রায়হান হোসেন ভূঁইয়া, ফরহাদ আহমেদ আপন, আজম ইকবাল শিপন, আনিসুর রহমান রানা, আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর প্রমুখ।
এ ব্যাপারে নবগঠিত কমিটির সদস্যসচিব মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘তাঁদের অভিযোগ সঠিক নয়। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ছাত্রদল করেছি। বিদেশে অবস্থান করেও জেলা প্রচার দলের সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছি। জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। দুই বছর আগে দেশে ফিরে আবারও স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি।’
গত ১২ ডিসেম্বর একেএম আমিনুল আলম পলাশকে আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল হককে সদস্যসচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।