পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর (১৪) গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। ওই কিশোরীর ফুপু বাদী হয়ে গত শুক্রবার মামুন মুন্সি (৩৮), তাঁর স্ত্রী রোজিনা আক্তার আয়শা ও আলমগীর তালুকদারকে (৬০) আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মেয়েটির ফুপু জানান, শিশুটির মা অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে উপজেলার একটি গ্রামের মামুন মুন্সীর বাড়িতে শিশুটি গৃহকর্মীর কাজ নেয়। একপর্যায়ে মামুন মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মামুনের স্ত্রী রোজিনা আক্তারের সহায়তায় মামুন মুন্সি ওই মেয়েটিকে খুলনার একটি হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করান। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটির স্বজনদের না জানিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য গোপন করে ১৬ ডিসেম্বর তাকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে গতকাল শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।’