চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে গতকাল রোববার কলকাতার পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল থেকেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পাভোট আর সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার ছিল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
মানুষ শান্তিতে ভোট দিয়েছে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূলের কেউ অশান্তি করে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এবারের পৌর নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। তবে বিভিন্ন জরিপে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
গতকাল কলকাতা পৌর সভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভোটার সংখ্যা ৪০ লাখেরও বেশি। প্রার্থী ৯৫০ জন।
সব কটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির প্রার্থীসংখ্যা ১৪২। বামেরা লড়ছে ১২৯ আসনে এবং কংগ্রেস ১২১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
নির্বিঘ্নেই ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুথে বুথে সকাল থেকেই লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। কারচুপি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে সকাল থেকে সোচ্চার ছিলেন বিরোধীরা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। ভোটের নামে প্রহসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
তবে কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা দাবি করেন, হার নিশ্চিত বুঝেই বিরোধীরা নিজেদের লজ্জা ঢাকতে কারচুপির গল্প ফাঁদছে। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে অবাধ ভোট লুণ্ঠন চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার নির্বাচন একটা প্রহসনে রূপান্তরিত হলো। তৃণমূল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই চলছে আগামীকাল ভোট গণনার প্রস্তুতি।