নীলফামারীর ডিমলায় মরিচের ঝাঁজ কমলেও দাম বাড়ছেই ব্রয়লার মুরগির। সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
তবে স্বস্তি কাঁচা মরিচের দামে। গত সপ্তাহে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গতকাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লারের মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে সোনালি, কক ও দেশি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। লাল কক মুরগির দাম ৫০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ৩৫০ টাকার আশপাশে ছিল।
বাবুরহাট বাজারের মুরগি বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের মুরগির খাবারের দাম বাড়ার কারণে খামারমালিকেরা বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছেন। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।’
শুটিবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, বাজারে যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৮০০ টাকা। এত দাম দিয়ে মাংস কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক আগেই গরু-খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন ব্রয়লার মুরগিও মনে হচ্ছে কপাল থেকে উঠে যাবে। আগে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতাম ১৩০ টাকা দিয়ে, এখন ২২০ টাকা লাগছে।’
শুটিবাড়ি বাজারের ক্রেতা রিপন ইসলাম বলেন, ‘সপ্তাহে এক দিন মাংস খাই। গরুর মাংসের অনেক দাম হওয়ায় আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হয় না। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষেরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে।’
বাবুরহাটের আইজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার করতে এসে আমরা হতাশ। সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কী ক্রয় করব, বুঝতে পারছি না। যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, গরিব মানুষের বাঁচা দায় হয়ে যাবে।’