ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হঠাৎ বেড়ে গেছে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগী। প্রতিবছরের গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। দিন দিন আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। চোখ ওঠার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারছে না। হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারেও বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ৪০ জন চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লিচিকিৎসকের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে এখন চোখ ওঠা রোগীর ভিড় বাড়ছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে ৫ বা ৭ দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।
এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।