জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল এবং তৎসংলগ্ন সেকেন্ডারি নালাসমূহ সংস্কার ও উন্নয়নে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধান শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। প্রতিবেদনে জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পেতে ছয়টি স্বল্প ও ১১টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ করা হয়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত শেষে আজ সকালে আমরা মেয়রের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছি। প্রতিবেদনে আমরা জলাবদ্ধতার কারণ এবং এর থেকে মুক্তি পেতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু সুপারিশ করেছি। স্বল্পমেয়াদি সুপারিশগুলো ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে।’
কাউন্সিলর বলেন, ২১ খাল সংস্কারসহ ১১ দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশের আলোকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে থাকা তিনটি জলাদারের বাইরে নগরীতে নতুন জলাধার সৃষ্টির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। শেখ মুজিব রোড বক্স কালভার্টের মাটি উত্তোলন করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজ সুষ্ঠু বাস্তবায়নের স্বার্থে সিটি করপোরেশন ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সার্কেল গঠন করতে হবে।