আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
আনারকলি-সেলিমের প্রেমকাহিনি, যতদিন রবে ওই যমুনাতে পানি, মানুষের মুখে মুখে থাকবে জানি—গলা ছেড়ে এভাবেই বন্দনা গান দিয়ে শুরু করেন মঞ্চের নায়ক-নায়িকা। বন্দনা শেষে সরাসরি প্রবেশ মূল কাহিনিতে। সংগীতের বাণী, বাদ্যের মূর্ছনা, অভিনয়-দক্ষতা আর মানিকগঞ্জের আঞ্চলিক উচ্চারণে যাত্রাপালা ‘প্রেয়সী আনারকলি’ মাতিয়ে রাখে কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতাকে।
আনারকলি আর শাহজাদা সেলিমের প্রেমকাহিনি নিয়ে কত যে সিনেমা, নাটক আর সাহিত্য রচিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। শত বছর ধরে মুখে মুখে ঘুরে ফিরেছে এই বিয়োগান্তক করুণ প্রেমগাথা। তবুও আনারকলির প্রতি টান কমেনি মানুষের। শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মঞ্চস্থ হলো ঐতিহাসিক যাত্রাপালা ‘প্রেয়সী আনারকলি’। হাজারো দর্শক-শ্রোতা উপভোগ করেন পালাটি।
শিবালয় উপজেলার জমদুয়ারা গ্রামে ওয়ায়েছি দরবার শরিফে এই যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এতে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ, মোহাম্মদ আলী মুরতজা পলাশ, পূরবী দত্তসহ অনেকে। প্রখ্যাত নাট্যকার বাবু প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টাচার্য রচিত নাটকটি পরিচালনা করেন নাসিবুল হাসান ফয়সাল এবং আলী মাশরাফি অন্তু।
মহাত্মা পাগল বাজান হাসেম আলী ওয়ায়েছির ৩৯তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে ওই যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। গতকাল চতুর্থ দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী পৌষালী ব্যানার্জির একক সংগীতানুষ্ঠান। এদিন মঞ্চে পর্যায়ক্রমে বাউল, পালা ও বিচার গান পরিবেশন করেন বাউল মাতাখ্যাত আলেয়া বেগম, সুনীল কর্মকার, বাউলশিল্পী কাজল দেওয়ান ও লিপি সরকার।