দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একটি গ্রাম জনশুমারি ও গৃহগণনার তালিকা থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গ্রামের এক হাজার বাসিন্দার নাম জনশুমারির তালিকায় ওঠেনি।
জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় ৯ হাজার লোক জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে নিয়োজিত ছিল। বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’ তিন মাস পর্যন্ত তালিকায় সংযুক্তির সুযোগ থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, বাদ পড়াদের তালিকাভুক্ত করে নেওয়া হবে।
দক্ষিণ নগর আশ্রয়ণপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম ডিজিটাল ও ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারির তালিকায় তাঁদের নাম ওঠেনি। গ্রামের অনেক বাসিন্দা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
তাঁদের অভিযোগ, ‘এখানে কোনো লোক আমাদের নাম লিখে নিয়ে যায়নি। তবে পাশের গ্রামে আমরা দেখেছি ও শুনেছি, তাদের বাড়ি বাড়ি এসে নামের তালিকা নিয়ে গেছে ও বাড়ির গেটে একটি স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এই গ্রামে কেউ জনশুমারির তালিকা নিতে আসেনি।’
দক্ষিণ নগর আশ্রয়ণপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গ্রামে আদমশুমারি বা জনশুমারির তালিকা নিতে কেউ আসেনি। আমাদের পাশের গ্রামে তালিকা হয়েছে কিন্তু কী কারণে আমাদের গ্রামে তালিকা হয়নি জানি না আমরা।’
দক্ষিণ নগর গ্রামের সাকাপাড়ার বাসিন্দা ইয়াসিন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে প্রায় ১২০টি বাড়ি আছে কিন্তু আমাদের গ্রামে কেউ আসেনি নামের তালিকা নিতে। সরকারের এত ভালো একটা উদ্যোগ কিন্তু একটা পুরো গ্রাম কীভাবে বাদ পড়ে বুঝতে পারছি না।’
একই গ্রামের আমিনা বেগম বলেন, ‘আদমশুমারি ও জনশুমারি কী, এসব বিষয় জানি না আমরা। কেউ কোনো তালিকা নিতে আমাদের কাছে আসেনি।’
চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি গত শনিবার জেনেছি। এ উপজেলায় কোনো নিয়মিত পরিসংখ্যান অফিসার নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’