নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার। খাল-বিলে ও জলাশয়ে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে ছোট মাছ শিকার করছেন জেলেরা।
এতে দেশি নানা প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে সচেতন মহল। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে জোরালো কোনো ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ তাদের।
ডিমলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আংগুরি বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমরা প্রচার চালিয়েছি। আমাদের অভিযানও অব্যাহত আছে। কেউ এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্র মাছের মরণফাঁদ চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর জাল চায়না দুয়ারি। লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি নতুন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়।
শুধু দেশিজাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্প ব্যয়ে এবং পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। উপজেলা সদরের সব বাজারেই চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার তিস্তা চর এলাকার মহসীন আলী জানান, ‘এই ফাঁদ ব্যবহার করলে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
মাছের খামারি সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এই ফাঁদ দিয়ে উপজেলার তিস্তা, বুড়িতিস্তা ও নাউতারা নদীসহ বিভিন্ন বিল-জলাশয়ে মাছ শিকার করছেন এক শ্রেণির জেলে। এতে উপজেলায় দেশি মাছের আকাল পড়ার আশঙ্কা আছে।’