ত্রিশালের বাহাদুরপুর গ্রামে মরহুম ফরমান আলী সরকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মসজিদটিতে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর মসজিদটি নির্মাণে শ্রমিক আনা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে। প্রায় দুই শ বছর আগে ফরমান আলী নামে এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে এটি নির্মাণ করেন। মসজিদের ভেতরে ও বাইরের নিখুঁত কারুকার্য বর্তমানেও আকৃষ্ট করছে মানুষকে।
ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশাল-বালিপাড়া রোডের পাশে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। মসজিদের ভেতরে তিনটি মেহরাব রয়েছে। এর মধ্যে মাঝখানেরটি ইমামের জন্য। পাশের দুটি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য। এই মেহরাবগুলো ভেতরের অংশেই নির্মাণ করা হয়। সে জন্য বাইরে মেহরাবের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। মেহরাবের জন্য মসজিদের পশ্চিম পাশের দেয়াল প্রায় তিন ফুট প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হয়েছিল।
ফরমান আলী ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কারণে তিনি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি শুধু এই মসজিদ নির্মাণ করেই থেমে যাননি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তুলে নেন নিজের কাঁধে। মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি সাড়ে চার একর আবাদি জমি মসজিদের নামে লিখে দেন।
মসজিদটি মোতোয়ালির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতোয়ালি মো. শাহজাহান সরকার বলেন, ‘ইসলামের বিকাশ এবং ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে তিনি অবদান অপরিসীম। ওনার একক প্রচেষ্টায় প্রায় দুই শ বছর আগে চুন, সুরকির গাঁথুনি দ্বারা এই অপূর্ব কারুকার্যের মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদের নামে দেওয়া জমির ফসল থেকেই একজন ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হয়।’