বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪০) সদর উপজেলার পুটিমারী এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত বছরের ৩০ জুন সকালে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে শিক্ষক মনোয়ারুলের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় মনোয়ারুল তথ্য ফরম পূরণের কথা বলে ছাত্রীটিকে বিদ্যালয়ে যেতে বলেন এবং জানান যে আরও অনেক শিক্ষার্থী এসেছে।
ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে গিয়ে আর কাউকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে চাইলে মনোয়ারুল বাধা দেন এবং জোরপূর্বক একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে মুখ ও হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করতে থাকলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়।
এ ঘটনায় মনোয়ারুলকে আসামি করে ৭ জুলাই বদরগঞ্জ থানায় মামলা করে মেয়েটি। তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটি এক বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মোজাহারুল আলম বাবলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন।
আদালতের আদেশের পর পিপি জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ন্যায়বিচার পেয়েছে।’