Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খালি হাতেই ফিরছেন অনেকে

পাইকগাছা প্রতিনিধি

খালি হাতেই ফিরছেন অনেকে

পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারের থেকে কম দামে পাওয়ায় টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় করছেন শত শত উপজেলাবাসী। এদিকে টিসিবির ডিলারদের দাবি, ক্রেতার তুলনায় বরাদ্দ দেওয়া পণ্যের পরিমাণ অনেক কম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে পাইকগাছার বিভিন্ন বাজারে সকাল ৯টা থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা করে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি পিকআপে করে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পণ্য। পিকআপের পেছনে শত শত মানুষের ভিড়। পণ্য কিনতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন লোকজন। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। পণ্যের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।

ক্রেতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শহিদুল আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাজারে দাম বেশি থাকায় যেদিন এখানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয় সেদিন মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়। সকাল ৭টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো পণ্য পাইনি। গত শনিবার এসে একবার ফিরে গিয়েছি। আজও বোধ হয় ফিরে যেতে হবে।’

ভিলেজ পাইকগাছার আব্দুল গাজী বলেন, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্তু পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি।’

পাইকগাছা পৌরসভার সরল গ্রামের প্রভাতি মণ্ডল বলেন, ‘ডিলাররা মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। এর ওপরে একই পরিবারের একাধিক সদস্য এসে পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে প্রতিদিনই পণ্যের সংকট তৈরি হচ্ছে। আমি পরপর দুই দিন এসে পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি।’ বাতিখালীর পূর্ণিমা মণ্ডল বলেন, ‘বড়লোকেরাও বাজারে না গিয়ে এখান থেকে পণ্য কিনছেন। আমাদের গরিবের পণ্য বড়লোকেরা নিয়ে যাচ্ছেন। এমন হলে আমরা কীভাবে পণ্য পাব। একই পরিবারের তিন-চার জন করে পণ্য নিয়ে গেছেন। পণ্যগুলো বাড়িতে রেখে এসে আবারও লাইনে দাঁড়িয়েছেন। অথচ আমরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, আমরা পাচ্ছি না।’

এদিকে ডিলার মনোয়ার হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আমাকে যে পরিমাণ পণ্য দেওয়া হয়েছে তা প্রতিদিন ২০০-৩০০ মানুষ পেতে পারেন। কিন্তু এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৫০০-৬০০ মানুষ। চাহিদার তুলনায় পণ্যের পরিমাণ খুবই কম।’

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, ‘টিসিবি পণ্য বাজারের থেকে কম দামে পাওয়া যায়। এ কারণেই হয়তো উপজেলাবাসীর কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের অনেক ভিড় হয়। অধিকাংশ মানুষই পণ্য না পেয়ে ফিরে যান। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ উপজেলার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ