চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়, আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্মচারী চাহিদা অনুযায়ী না থাকায় স্বাস্থ্যসেবার ব্যাহত হচ্ছে। জেলার প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। এছাড়া পাশের জেলা শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর থেকে আসা রোগীদের একমাত্র ভরসাস্থল চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল; কিন্তু আটটি পদে সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট নেই। উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক ঘাটতি ৬৭ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ঘাটতি ৩৮৬ জন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুসহ অন্যান্য রোগী বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও শয্যাসংকট চরমে পৌঁছেছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, ‘শীতের আগাম সময়টাতে আমাদের হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক সময় তিনগুণ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি যত্ন নিতে হবে। কারণ দিনে গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা বেড়ে যায়। অনেক সময় মায়েরা শিশুদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারেন না, আবার অনেক শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে। এ সময়টাতে ভাইরাসের প্রবণতাও বাড়ে। এসব কারণে শিশুরা আক্রান্ত হয় এবং হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়।’
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে মঞ্জুর করা চিকিৎসকের পদসংখ্যা ৪৪টি। কর্মরত ৩২ জন। চিকিৎসকের শূন্য পদ ১২টি। এর মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, চক্ষু, কার্ডিও, ইএনটি, অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট রেডিওলজি, চক্ষু ও প্যাথলজিসহ আটজন কনসালটেন্টের পদ শূন্য।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে মেডিকেল অফিসারের পদ হচ্ছে ২০৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত ১৪২ জন। চিকিৎসকের পদ শূন্য ৬৭টি। এর মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে সদরের বিষ্ণুপুর, আশিকাটি ও কল্যাণপুর, হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর, গুপ্টি দক্ষিণ, গোবিন্দপুর দক্ষিণ, কচুয়া উপজেলার আশরাফুর ইউনিয়নে চিকিৎসক নেই।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কনসালটেন্টের পদগুলো শূন্য অনেকদিন। জনবল ঘাটতি নিয়েই আমাদের চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। অনেক চিকিৎসকই অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করেন। যে কারণে কোনো চিকিৎসককে চাপ দিয়ে কাজ করানো সম্ভব নয়।