বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটের বাকি মাত্র দুই মাস। এরই মধ্যে শহরে শুরু হয়েছে ভোটের উত্তাপ। দিন যতই গড়াচ্ছে, জনসাধারণের মধ্যে ভোট নিয়ে ততই আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া ঈদের পর প্রার্থী ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এদিকে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তাই ফাঁকা মাঠ পাবে না আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৩ জুন ইভিএমে হবে বিসিসি নির্বাচনের ভোট। আগামী ১৬ মে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফায়জুল করিম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারেন কামরুল আহসান রুপন।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে ও আবুল হাসানাত আবদুল্লার আপন ভাই হলেন খোকন সেরনিয়াবাত। তাঁর ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহ সিটি মেয়র। এদিকে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হলেন ফয়জুল করিম। তিনি দলের নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি। রেওয়াজ অনুযায়ী, পৈতৃক সূত্রে দলটির বড় পদে আছেন ফয়জুল করিম। সে হিসেবে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল জেলা সভাপতি এইচ এম সানাউল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দলীয়ভাবে আমরা মনোনয়নের ব্যাপারে আরেকটু পর্যালোচনা করব। যে কারণে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে। ঈদের পর দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে ২০১৩ সালে কামরুল আহসান রুপনের বাবা আহসান হাবিব কামাল বিসিসি মেয়র ছিলেন। তখন ঠিকাদারি, নিয়োগ, হাটবাজার ইজারা, তদবিরসহ সবকিছুই রুপন নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা গেছে। আসন্ন বিসিসি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে ১২ এপ্রিল তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক তলব করেছে। বাবা আহসান হাবিব মেয়র থাকাকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন রুপন। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। আমরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস গতবারের নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে জাপা। এবার আগেভাগেই তাপসকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাখে জাতীয় পার্টি। তাপসের এক ভাই যুবদলের নেতা ও আরেক ভাই যুবলীগের।
