ফরিদপুরের নগরকান্দায় সৌদি আরবের খেজুরের বাগান করে সফলতার মুখ দেখছেন জামাল হোসেন মুন্সী। বাড়ির পাশে ৫২ শতক জমিতে সৌদি আরবের বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি জাতীয় খেজুরের চাষ করেছেন জামাল। জামাল উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নিখোঁরহাটি গ্রামের আয়নাল হক মুন্সীর ছেলে।
জানা গেছে, গাছ রোপণের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে খেজুর ধরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে খেজুর পাকতে শুরু করেছে। খুবই সুস্বাদু, মিষ্টি ও উন্নত জাতের খেজুরগুলো দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসছেন। এ ছাড়া একই জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন তিনি। কয়েক বছর ধরে বাগানের ড্রাগন ফল বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন জামাল মুন্সি। ড্রাগনের পাশাপাশি তিনি সৌদি খেজুরের বাগান করেও আশার আলো দেখছেন।
জানা গেছে, লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় নিজেই ব্যবসা শুরু করেন জামাল মুন্সি। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এশিয়ান পাওয়ারটেক কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক জামাল মুন্সী নিজেই। ব্যবসার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে শুরু করেন এ ফলের আবাদ।
জামাল মুন্সি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ির পাশে একটি জমিতে কয়েক বছর আগে ড্রাগন ফলে চারা রোপণ করি। এরপর সৌদি আরবের বেশকিছু উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা লাগাই। ড্রাগন ফল বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। এ বছর গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। খেজুরের মান ও ফলন খুবই ভালো। আশা করছি, খেজুর বিক্রি করেও লাভবান হতে পারব। এলাকায় এ ধরনের আরও কয়েকটি বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলোক কুমার ঘোষ বলেন, জামাল হোসেন ড্রাগন ফলের পাশাপাশি সৌদি আরবের খেজুরের বাগান করে সফল হয়েছেন। তাঁর এ উদ্যোগ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উৎসাহিত হয়ে চাষে ঝুঁকছেন। আর জামাল হোসেনের এ বাগানের পরিচর্যার কাজে আমরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।