কৃষি-মৎস্যের ৬৪৮ কোটি ক্ষতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৪০

সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য খাতের ৬৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় ৬১০ কোটি, সীতাকুণ্ডে ১৪ কোটি ৩২ লাখ এবং দৌলতপুরে ২৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য বিভাগের তথ্য নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, সাতক্ষীরায় নিম্নচাপের প্রভাবে দুই দফায় অতিবৃষ্টিতে কৃষি ও মৎস্য খাতের ৬১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও বাঁধ ভাঙনের ফলে ফসলের খেত ও মাছের ঘের ভেসে যায়। এতে মৎস্য খাতের ৬০০ কোটি টাকা এবং কৃষির ১০ কোটি টাকার ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্যচাষিরা ঘুরে আর্থিকভাবে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টিতে সাতক্ষীরার কমপক্ষে সাত হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। ৮০ হাজার হেক্টর জমির আমনের মধ্যে কমপক্ষে ৫ হাজার হেক্টরের ক্ষতি হয়।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টি ও বেতনা নদীর বিনেরপোতা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কমপক্ষে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির মাছ ভেসে গেছে। দুই দফায় সব মিলিয়ে ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনো জলাবদ্ধতা কমেনি। পানি নেমে গেলে অন্তত ডুবে যাওয়া জমিতে কৃষকেরা শাকসবজি চাষ করতে পারতেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, মাছচাষিদের বাঁচাতে হলে প্রণোদনা প্রয়োজন। এদিকে সাম্প্রতিক টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মৎস্য ও কৃষি খাতে ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পর ধীরে ধীরে মৎস্য খামার ও ফসলি জমির এসব ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় উপজেলার ৯ হাজার ৮২০ কৃষি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় মোট রোপা আউশের ৫ হাজার ৩০ হেক্টরের মধ্যে ৩৫০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে ৩০৫ হেক্টর সবজিখেতের ১৫০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উপজেলাজুড়ে রোপণ করা ২৩৪ হেক্টর আমনের বীজতলার মধ্যে ৮০ হেক্টরের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি ৩০ হেক্টর রোপা আমনের মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২০ হেক্টরের। সব মিলিয়ে কৃষিতে ৬ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি নিরূপণ করা হয়।

এ ছাড়া ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৪ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে ২৪ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নুরুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মরিচা, ফিলিপনগর, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমির মাষকলাই পানিতে ডুবে গেছে। এতে অন্তত ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা ছাড়া মরিচ ৭০ হেক্টর, কলা ৭৩ হেক্টর ও সবজি ১৩ হেক্টরের মতো পানিতে ডুবেছে, যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই করা সম্ভব না বলেও জানিয়েছে কৃষি অফিস।

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি