ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ময়মনসিংহের চিকিৎসকেরা। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ জন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তিনতলায় এই ওয়ার্ড চালু করা হয়। শয্যাসংখ্যা ৫০টি। সেখানে বর্তমানে ৪১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতালে ১০ থেকে ১৫ জন নতুন করে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে মেডিসিন ওয়ার্ডের ছয়টি ইউনিটে ৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে সাতজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। তাঁরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার মমেক হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহ নগরীর পাদ্রিমিশন রোডের বাসিন্দা খ্রিস্টানধর্মীয় যাজক লিটনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সপরিবারে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতাম। প্রথমে আমার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এর কয়েকদিন পর আমার সন্তান আক্রান্ত হয়। পরে আমি আক্রান্ত হই।’
ঢাকায় একটি কোম্পানিতে কাজ করা মুক্তাগাছার জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রথম শরীরে জ্বর আসে। পরে শুরু হয় পেটব্যথা ও পাতলা পায়খানা। এ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন ডেঙ্গু হয়েছে। ’
মমেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন কায়সার হাসান খান ইমরান বলেন, ‘ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তিনতলায় এই ওয়ার্ড চালু করা হয়। শয্যাসংখ্যা ৫০টি। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মেডিকেলে সর্বোচ্চ ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় গতকাল বিকেল থেকে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। এই মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়বে। সংক্রমণ সামলানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক রয়েছে।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো ডেঙ্গু রোগী নেই। আমরা উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করেছি। জোনভিত্তিক আমাদের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।