রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় স্বামী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের শালুর মোড় এলাকায় সাহেব মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে আহতের বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে রাত ৮টার দিকে গৃহবধূ শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে সাহেব আলীর ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বাউশমারী গ্রামের শাহাজুদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত শনিবার বিকেলে শারমিন আক্তার ছেলে সাজেদুল ওরফে শান্ত ও স্বামী সোহেল মিয়াকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন সোহেল ও ছেলে শান্ত। সোহেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোহেল মিয়া পরকীয়া জড়িত। বাধা দিলে তিনি আমার ওপর নির্যাতন চালাতেন। এ কারণে সিদ্ধান্ত নেই, ছেলেকে নিয়ে আমি মরব। ছেলেকে ছুরিকাঘাত করার সময় সোহেল বাধা দিলে ছুরি তাঁরও পেটে লাগে।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় সোহেল মিয়ার বাবা সাহেব আলী মামলা করেন। রাতেই অভিযুক্ত শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।