মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
আহলান সাহলান মাহে রমজান—স্বাগত পবিত্র রমজান মাস। দীর্ঘ এক বছর পর রহমত, ক্ষমা ও মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলো মাহে রমজান। মাসব্যাপী সংযমের বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করে তোলার সময় এখনই। খাওয়া-দাওয়া ও জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলির ঊর্ধ্বে উঠে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা, পবিত্র কোরআনের শিক্ষা বাস্তবজীবনে প্রতিফলনের মাধ্যমে সাচ্চা মুমিন হয়ে ওঠা এবং কৃত গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে পরকালীন জীবনের সাফল্য নিশ্চিত করাই এ মাসে মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
রমজান শুধু রোজা পালনের নামে উপোস থাকা নয়; বরং রমজানের অন্যান্য অনুষঙ্গ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে রোজাকে ফলপ্রসূ করতে হবে। অন্যান্য ফরজ ইবাদত, তারাবির নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জাকাত, সদকাতুল ফিতরও সমান গুরুত্ব দিয়ে আদায় করতে হবে। রোজা নষ্ট হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি নৈতিক মানদণ্ডে নিজেকে উত্তীর্ণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন হতে হবে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই রমজানের শিক্ষা হতে পারে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের পরকালে ভয়াবহ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
রমজান তাকওয়া অর্জনের মাস। যেকোনো অনৈতিক, অন্যায় ও পাপের কাজ তাকওয়া অর্জনের পথে অন্তরায়। তাই পবিত্র মাস রমজানকে বরণ করে নেওয়ার অর্থ হলো, নবোদ্যমে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া। মহানবী (সা)-এর নির্দেশনা মতে, পুরো রমজান অতিবাহিত করতে পারাই রমজানের সার্থকতা। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন।
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি, মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম