খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েও নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ধলিয়া-হাজাপাড়ার শতাধিক পরিবার। সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হাজাপাড়াটি। গভীর নলকূপ না থাকায় বছরের পর বছর নিরাপদ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে পাড়ার বাসিন্দারা।
পাড়ার বাসিন্দা ধনরানী ত্রিপুরা বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে যেটুকু পানি ঝিরি, কূপ বা ছড়ায় জমে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়, তা-ও আবার খাওয়ার অনুপযোগী। এখানকার পানি লবণাক্ত। ফলে বাধ্য হয়ে ছড়া বা ঝিরি থেকে পানি পান করতে হচ্ছে। এই পানি পান করে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ডায়রিয়াসহ নানা অজানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে গ্রামের অনেক মানুষ।’
সোনালী ত্রিপুরা বলেন, ‘প্রতিবছরের মার্চ ও এপ্রিল—এই দুই মাসে দুর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ভয়াবহ রূপ নেয়। জনপ্রতিনিধিরা যদি পানিসংকট নিরসনে উদ্যোগ নেন, তাহলে আমরা এ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতাম।’
২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শান্তিময় ত্রিপুরা বলেন, ‘এবারও ধলিয়া-হাজাপাড়ায় এলাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিজ উদ্যোগে মাসে দুবার করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ করেছি। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ যদি কাজ করে, তাহলে পানির কষ্ট কিছুটা কমে যাবে।’
মাটিরাঙ্গার সদর ইউপি চেয়ারম্যান হমেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সহসা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নাগরিকেরা সুবিধাবঞ্চিত হয়ে আসছে। পর্যায়ক্রমে এসব গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে বঞ্চিতদের সেবার আওতায় আনা হবে।’