নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সহজ সমীকরণটা হঠাৎ করেই খানিকটা জটিল হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা হতে পারত ফাইনালের প্রস্তুতি, সে ম্যাচটাই এখন বাংলাদেশের যুবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে যুবাদের সামনে শেষ বাধা এখন নেপাল।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপকে হারিয়ে ৯ পয়েন্টে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সারাই ছিল বাংলাদেশের। ফাইনালটাও নিশ্চিত হয়ে যেত লাল-সবুজ যুবাদের, যদি গত পরশু নেপালের বিপক্ষে অস্বাভাবিক বড় জয়টা না পেত ভারত। গত পরশুর ম্যাচে ভারতের কাছে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেয়েছে নেপালিরা, হেরেছে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। সেই হারেই মূলত পয়েন্ট টেবিলের পরিসংখ্যানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ তানভীর-মিরাজদের। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলবে ভারত। নেপালকে হারালে অথবা ড্র করে এক পয়েন্ট পেলেই গ্রুপসেরা হয়ে ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। হেরে গেলেও সুযোগ আছে। মালদ্বীপের কাছে ভারত হেরে গেলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুবাদে শিরোপার লড়াইয়ে নামতে পারবে পল স্মলির দল। তবে নেপালের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলে আর ভারত মালদ্বীপকে হারালে হিসাবের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে তিন দলকে। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত—তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৯। তখন গোল ব্যবধানের হিসাবটা হবে এই তিন দলের নিজেদের মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে গোলসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে। ভারতকে ২-১ গোলে হারানো বাংলাদেশের গোল ব্যবধান এখন +১। ভারতের কাছে নেপাল ৮ গোলে হারায় তাদের গোল ব্যবধান -৮। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতলেই শুধু ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকবে নেপালের।
বড়দের সাফে এই নেপালের বিপক্ষেই সহজ সমীকরণ নিয়েও ফাইনালে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে যুবাদের আশা, বড়দের মতো হতাশ করবে না তারা। ফাইনালে খেলার হিসাবের এই মারপ্যাঁচে যেতেও চায় না বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে খেলার আশা দলের সহ-অধিনায়ক মইনুল ইসলামের। বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে যাওয়া। ফাইনালে গিয়ে দেশকে একটি শিরোপা উপহার দেওয়া।’ যুবাদের ফাইনালে খেলার মানসিকতা নিয়েই প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানালেন সহকারী কোচ রাশেদ আহমদে পাপ্পু, ‘আমাদের কোচ পল স্মলি বলে দিয়েছেন ফাইনালই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি।’