চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরস্পরের বিরুদ্ধে না লড়েও শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের এক দম্পতি।
এই দম্পতির ভোটে অংশগ্রহণ ইউপি নির্বাচনে একটা সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাঁদের নিয়ে নির্বাচনে আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছিল স্থানীয় জনসাধারণ ও ভোটারদের মাঝে। নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে উভয়ে নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দ্বারে দ্বারে শুধু নিজের জন্যই ভোট প্রার্থনা করেছেন।
ভিন্ন আমেজের সে লড়াইয়ে স্বামী টিএম নুরুল হক পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনে হেরে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে বিপরীত দিকে তাঁর সহধর্মিণী পাপিয়া হক ঠিকই বিজয় লাভ করেছেন।
উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে তিনি বিজয়ী হন। হলেও পরাজিত হয়েছেন তাঁর স্বামী। শ্রমিক অধ্যুষিত কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যান মাত্র ৮৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলেও নুরুল হকের মুঠোফোনে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর স্ত্রী পাপিয়া হক বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় তাঁকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে নিষেধ সত্ত্বেও তিনি কথা শোনেননি। এখন সচেতন ভোটারগণ যে রায় দিয়েছেন সেটা তো মেনে নিতেই হবে।’