Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিএমডিসি নিবন্ধন মিলছে না বেকায়দায় অর্ধশত শিক্ষার্থী

রাজশাহী প্রতিনিধি

বিএমডিসি নিবন্ধন মিলছে না বেকায়দায় অর্ধশত শিক্ষার্থী

পড়াশোনা শেষ। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন মিলছে না। তাই কোথাও চাকরির আবেদনও করা যাচ্ছে না। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সে পড়াশোনা শেষ করা রাজশাহীর প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী এমন বেকায়দায় পড়েছেন। এ জন্য তাঁরা প্রতিষ্ঠানকে দুষছেন। তাঁরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

এই শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর ডি-মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ডি-ম্যাটস) থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বেসরকারি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নগরীর কাজিহাটা এলাকায়। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর এখানে দুটি ব্যাচ চার বছর মেয়াদি কোর্স শেষ করেছে। এই দুই ব্যাচের অর্ধশত শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে আছেন।

প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের হয়রানির ভয়ে তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ডি-ম্যাটসে এখনো তিনটি ব্যাচ পড়াশোনা করছে। প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী এখন আছে। আর উত্তীর্ণ দুই ব্যাচের প্রায় ৫০ জনের সবাই বেকার বসে আছেন।

প্রথম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের কোর্স মোট চার বছরের। এর মধ্যে তিন বছর একাডেমিক পড়াশোনা। বাকি এক বছর ইন্টার্নশিপ। তাঁরা নওগাঁ সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছেন। কিন্তু ডি-ম্যাটস বিএমডিসির নিবন্ধন করিয়ে দিতে পারছে না। ফলে তাঁরা কোথাও চাকরির আবেদন করতে পারছেন না। মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে পড়াশোনা শেষ হলেও পরিবারের বোঝা হয়ে বেকার বসে আছেন। এতে তাঁরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রথম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিএমডিসি নিবন্ধন করিয়ে দেওয়ার জন্য ডি-ম্যাটস কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও তারা নানাভাবে টালবাহানা করছে। এই হবে হবে করে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার আট বছরেও বিএমডিসি নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারেনি ডি-ম্যাটস। এতে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ শেষ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, প্রথম ব্যাচের পর দ্বিতীয় ব্যাচেরও একই অবস্থা। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের চাকরির বাজার আছে বলে তাঁরা এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডি-ম্যাটসের পরিচালক রজব আলী খন্দকার শিমুল বলেন, প্রথম ব্যাচটি যখন বের হলো, তখনই করোনার প্রকোপ শুরু হলো। তাই নিবন্ধন প্রক্রিয়া এগোয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিএমডিসিতে আবেদন দিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো পরিদর্শন টিম এখনো আসতে পারেনি। তারা আগে আমাদের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবে। তারপর শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন দেবেন। আমরা এটা দ্রুত করতে চেষ্টা করছি।’

ডি-ম্যাটসের পরিচালক আরও জানান, শুধু তাঁরা একা এ সমস্যায় পড়েছেন, তা নয়। রাজশাহীর মোট তিনটি এবং সারা দেশের ৫৭টি ম্যাটস এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জটিলতা কাটবে বলে আশা করছেন তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ