লালবাগ থানায় হওয়া ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। একই দিনে মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত মঙ্গলবার একই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নুর, নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে গতকাল আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলাটি করেন।
একই বাদী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেন। যেখানে নাজমুল হাসান সোহাগ ও ডিজিটাল অপরাধের অভিযোগে হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে ১০ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেই মামলাতেও নুরসহ চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।