Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পানিতে পাটের জাগ ক্ষতি পরিবেশের

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

পানিতে পাটের জাগ ক্ষতি পরিবেশের

রংপুরের কাউনিয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি পাটের রিবন রেটিং পদ্ধতি। ফলে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার প্রচলন রয়ে গেছে এখানে। এতে পরিবেশের ক্ষতি শুধু নয়, মানসম্মত আঁশ উৎপাদন করতে না পেরে দামেও ঠকছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ ও আঁশ ছড়ানোর কারণে পরিবেশের ক্ষতি শুধু নয়, পানিতে ময়লা-পচা দুর্গন্ধ ও পোকামাকড় ছড়িয়ে পড়ে। কৃষি বিভাগ থেকে ইতিপূর্বে রিবন রেটিং পদ্ধতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্য কৃষকদের বিনা মূল্যে যন্ত্রাংশ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিতে পাট আবাদে কৃষকের আগ্রহ নেই।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৯০, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৩০, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ১৩০ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া না লাগায় প্রতিবছর পাটের আবাদ কমছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর আগস্ট থেকে অক্টোবর তিন মাস চলে পাট কেটে জাগ দেওয়ার কাজ। ২০১০ সালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক চাষিকে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে চাষিদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে দলপ্রধানদের কাছে রিবনার মেশিন দেওয়া হয়। একেকটি মেশিন গড়ে ১০০ জন কৃষক পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো বদ্ধ পানিতে পাট জাত দেওয়ার দৃশ্য উপজেলার পুরো জনপদে। কয়েক সপ্তাহের মজা পাট তুলে আঁশ ছাড়ানো হচ্ছে মুক্ত খাল বা জলাশয়ে। এতে ময়লা-পচা দুর্গন্ধ ও পোকামাকড় ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ।

চাষিরা জানান, উন্নত প্রযুক্তির প্রচার না থাকায় দীর্ঘদিন তাঁরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিয়ে আঁশ ছড়ানোর কাজ করছেন। এভাবে পাট পচাতে ও আঁশ ছড়াতে শ্রমিক মজুরির পেছনে বাড়তি খরচে উৎপাদন ব্যয় ওঠে না। এ ছাড়া আঁশের মান ভালো না হওয়ায় দাম পান না কৃষকেরা। সবকিছুতেই ক্ষতির শিকার হয়ে কৃষক পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

হারাগাছ উদাশীর পাড় গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, এবার ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাট চাষে তাঁর প্রায় ৬২ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে কাটা, জাগ, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোয় প্রায় ৪১ হাজার টাকা শ্রমিক মজুরি দিতে হয়েছে।

নাজিরদহ গ্রামের কৃষক সোলায়মান আলী বলেন, ‘বদ্ধ পানিতে পচানো পাটের রং ভালো হয় না। এ কারণে ভরা মৌসুমে ভালো দামও পান না।

কুঠিরঘাট গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তিতে ধান, গম, ভুট্টা ও সবজি চাষাবাদ করা হলে পাটের আবাদে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এলাকার কৃষকেরা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছড়ানো ও জাগ দেওয়া বিষয়ে জানেন না। কৃষি বিভাগ থেকেও কোনো পরামর্শ দেওয়া হয় না।’

রাজিব গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে পাট চাষ কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। অথচ মানসম্মত আঁশ উৎপাদন না হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। এ কারণে কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ