বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বিরলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে খুশি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক কড়া জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। এতে ২২টি পরিবার খুঁজে পেয়েছে আপন ঠিকানা। এ ছাড়া শুধু থাকার ঘর নয়, তাঁদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে উপজেলা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা প্রকল্প।
জানা যায়, জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৮টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ আছেন ছয় লাখের বেশি। স্বাধীনতার পর কড়া সম্প্রদায় দেড় শতাধিক পরিবার বসবাস করলেও এখন রয়েছে মাত্র ২২ পরিবার। হারিয়ে যেতে বসেছে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক কড়া সম্প্রদায়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে এ পরিবারগুলো বিরল উপজেলার হালজার গ্রামে বসবাস করে। কড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা মাঠে-ঘাটে কাজ করে অন্যের জায়গায় তৈরি করা ঝুপড়ির মধ্যে রাত কাটান। বৃষ্টি হলে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের মানুষ কৃষ্ণ কড়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোকে ঘর দিয়ে ভালোভাবে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। আগে আমরা কোনোমতে মাটির ঘরে থাকতাম। এখন আর সেই মাটির ঘর নাই। আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। জলের ব্যবস্থা আছে। সেই সঙ্গে পাকা রাস্তা করে দিয়েছেন। আমরা এখন খুব শান্তিতে আছি।’
রাণীপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আজম বলেন, সারা দেশের মধ্যে ২২টি কড়া পরিবার আমার ইউনিয়নে আছে। পরিষদ থেকে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকি। বর্তমানে তাঁরা ভালো আছেন।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায় জানান, পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর খোঁজখবর আমরা সবসময় নিই। তাঁদের এখন বাসস্থান, বিদ্যুৎ ও রাস্তা হয়েছে। এখন শুধু তাঁদের মানোন্নয়ন, লেখাপড়া উন্নয়নের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানান, কড়া সম্প্রদায়ের জীবন-মান উন্নয়নে সবসময় আমরা তাঁদের পাশে থাকব।