লাউ চাষে লাভবান হয়েছেন মো. মতিয়ার রহমান। ৪৫ শতক জমিতে তিনি লাউ চাষ করেন। লাউ বিক্রির আগ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। এর পর এক মাসে খেত থেকে লাউ বিক্রি করে লাভ হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। খেতে যে পরিমাণ ফুল ও ছোট লাউ রয়েছে, তাতে আরও অন্তত দেড় লাখ টাকা লাভ হওয়ার আশা করছেন এ কৃষক।
মতিয়ার রহমানের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের মঠবাড়িয়া পাড়ায়। তিনি এলাকাতে একজন গুণী কৃষক হিসেবে পরিচিত।
গত শনিবার মঠবাড়িয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মতিয়ার রহমানের লাউ খেতে সবুজের সমারোহ। সাদা ফুলে খেত ছেয়ে আছে। মাচায় প্রতিটি ডগায় ঝুলছে লাউ। পড়ন্ত বিকেলে খেতে হাত পরাগায়ন করছেন মতিয়ার রহমান। লাউ মূলত শীতকালীন সবজি হলেও, তাঁর খেতে যে পরিমাণ ফলন তাতে মূল মৌসুমকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘গত মে মাসের মাঝামাঝি ৪৫ শতক বিঘা জমিতে ময়না জাতের লাউয়ের বীজ রোপণ করি। এসব চারা রোপণ, খেতে সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক দেওয়াসহ ৪৫ দিনে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খেতে আগে তরমুজ ছিল। তরমুজ উঠে যাওয়ায় সেই মাচায় লাউ চাষ করি। তাই মাচা বানানোর খরচ লাগেনি।’
মতিয়ার রহমান বলেন, ‘গাছের বয়স ৪৫ দিন হলে লাউ কাটা শুরু করি। প্রতিটি লাউ ২৫-৪০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ৩০ দিন ধরে লাউ তুলছি। দূরের বাজারে পাঠানোর কারণে এ সবজি বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। খেতে যে পরিমাণ ফুল ও ফল হয়েছে, তাতে অন্তত তিন লাখ টাকার লাউ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন মাস ধরে গাছে লাউ ধরবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘লাউ শীতকালীন সবজি। তবে এটা এখন সব সময় চাষ হচ্ছে। হাত পরাগায়নের ফলে ফলনও বেশি পাওয়া যায়। মতিয়ার রহমান একজন গুণী কৃষক।’