নীলফামারীতে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য বিশেষ করে শিশুদের খাবার ও পানি পানের প্রতি সতর্কতা অবলম্বনে করতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত সোমবার হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে ১৮ জন শিশু।’
আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তির জায়গা নেই। অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সেবাদানকারী নার্সরাও। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের বাবরীঝাড় এলাকার নাসিমা আকতার বলেন, ‘শুক্রবার শিশু রিমু আকতারের ডায়রিয়া শুরু হয়। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে ওষুধ নিয়ে সেবন করায় কখনো বাড়ে আবার কমে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রীতিলতা রায় বলেন, ‘কিছুদিন ধরে রোগীর চাপ বাড়ছে। শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে—বিশেষ করে ডায়রিয়ায়। আমরা যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শিশু রোগীর চাপে হাসপাতালে একটি শয্যায় তিনজনকে রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে।’
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অন্য রোগীর সংখ্যা শয্যার তুলনায় বেশি। গেল ১৫ দিনে সর্বোচ্চ ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছে এ জেলায়। গত সোমবার জেলায় ৭৬ জন রোগী ছিল। খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’