কেউ কেউ বাচ্চাদের নিয়ে নাগরদোলায় চড়ছেন। কেউ আবার শখের পণ্য কিনছেন। অনেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন শখের পণ্য। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় এমনটিই দেখা গেছে গতকাল শুক্রবার।
দুই সন্তানকে সঙ্গে করে মেলায় এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহেলা রহমতউল্লাহ। তিনি জানালেন, মেয়েদের বৈশাখী মেলা দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় বৈশাখী মেলার যে আমেজ পেতাম, এখন আর তা নেই। তারপরও এমন মেলাগুলো কিছুটা হলেও বৈশাখের আমেজ দেয়।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে এ মেলার। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধের পর গত বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখে ১৪ দিনব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এই মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলায় স্টল দিয়েছেন বিসিক থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ উদ্যোক্তা। এসব স্টলে পাওয়া যাচ্ছে নকশিকাঁথা, পাটপণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারি, লেদার গুডস, অরগানিক ফুডস, ইলেকট্রনিক পণ্য, মধুসহ নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।
টপ লেদার হাউসের স্বত্বাধিকারী কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘গত দুই বছর মেলা না হওয়ায় আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে এবার প্রথম দিন থেকেই বেচাবিক্রি ভালো।’
দিনাজপুর থেকে কারুপণ্য নিয়ে আসা জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমাদের তৈরি পণ্যগুলো গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ পণ্যগুলো সহজে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। বিক্রিও সন্তোষজনক।’
বাংলা একাডেমির বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা শেখ ফয়সল আমিন জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও বাজারজাতকরণে সহায়তা করে যাচ্ছে বিসিক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমির সঙ্গে যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।