আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নগরের দুটি অস্ত্র মামলার রায়ে চার আসামিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় করা অস্ত্র মামলায় তিন ছিনতাইকারীর ১৭ বছর এবং জেলার রাঙ্গুনিয়ায় এক অস্ত্র মামলার রায়ে এক মুদি দোকানিকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা তিন আসামির ১৭ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর হালিশহর কামাল সর্দার বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে মো. আরিফ, নোয়াখালীর চর জব্বারের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. এনামুল হক ও ভোলা লালমোহন থানার মির্জা আলীর ছেলে শামসুদ্দিন।
অপরদিকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদ রাঙ্গুনিয়ায় অস্ত্র উদ্ধার মামলার রায় দেন ৷ রায়ে জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার নামের এক মুদি দোকানিকে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আসামি জাহাঙ্গীর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তরখিল মোগল তালুকদার বাড়ির চান বক্স তালুকদারের ছেলে।
আদালতের পেশকার ফুয়াদ হাসান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত জেলা পিপি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, রায় দেওয়ার পর আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার মোগল হাট বাজারে একটি মুদির দোকানের মালিক আসামি জাহাঙ্গীর। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ ২০০৩ সালের ২ জুলাই তার দোকানে তল্লাশি চালায়। এ সময় দোকানের স্টোর রুম থেকে একটি দেশে তৈরি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত এ রায় দেন।
অপরদিকে, ২০০৭ সালের ৩ মার্চ নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির খেলার মাঠের সামনে ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টাকালে তিন ছিনতাইকারীকে জনতা ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের কাছ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় করা মামলায় ২০০৭ সালের ১৪ জুন আদালত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত অস্ত্র রাখার দায়ে ১০ বছর ও কার্তুজ রাখার দায়ে ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।