গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের সহকারী সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের পাশে নির্মিত গণশৌচাগারটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্যবহার করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে আসা জনসাধারণের জন্য নির্মাণ করা হয় শৌচাগারটি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় শৌচাগারটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে নয় লাখ টাকা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শৌচাগারটি নির্মাণের পর পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য হরিজন সম্প্রদায়ের মিঠু ও মিনতি রানি দম্পতিকে তিন মাসের জন্য তদারকির দায়িত্ব দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব নেওয়া মিনতি রানীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে শৌচাগারটি পরিচর্যার জন্য তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। করোনার কারণে লোকজন না আসায় উপার্জন না থাকায় দায়িত্ব ছেড়ে দেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে মর্নেয়া ইউনিয়ন থেকে সেবা নিতে আসা বিথী আক্তার বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নেই। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের জন্য আমাকে যেতে হলো গঙ্গাচড়া বাজারে।’
উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা মুখলেস উদ্দিন (৬০) নামে একজন জানান, উপজেলা চত্বরে থাকা শৌচাগারটি তালাবদ্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই খোলা জায়গা ব্যবহার করতে হয়।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী সারাবান তহুরা বলেন, ‘শৌচাগারটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের মিঠু ও মিনতি রানীকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিই। কিন্তু শৌচাগার ব্যবহারে লোকজন না থাকায় তিন মাসের মাথায় তদারকির দায়িত্ব ছেড়ে দেন তাঁরা। শৌচাগারটি খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয় কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শৌচাগারটির তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’