চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলওয়ের দ্বিতীয় তদন্ত কমিটিও গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফাকে দায়ী করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কর্তৃপক্ষের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়।
এর আগে ১৬ আগস্ট রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ওই দুর্ঘটনার জন্য গেটম্যান সাদ্দাম ও মাইক্রোবাসের চালক গোলাম মোস্তফা নিরুকে দায়ী করে। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী।
গতকাল সকালে জমা দেওয়া রেলওয়ের চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রেলপথ) আরমান হোসেন। বাকি সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জাকির হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোস্তফা জাকির হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী তারেক মো. শামস তুষার।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সর্বশেষ তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য মাইক্রোবাসচালক ও গেটম্যানকে দায়ী করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী করা চালক গোলাম মোস্তফা দুর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে চাকরিচ্যুত করতে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে কারাগারে আছেন। তবে সাদ্দাম রেলওয়ের স্থায়ী কর্মী নন। একটি প্রকল্পের আওতায় গেটম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।’
তদন্ত কমিটি বলছে, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যদর্শীদের সাক্ষ্য, ট্রেনচালক, পরিচালক (গার্ড), গেটম্যান ও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাঁদের সাক্ষীর ভিত্তিতে প্রতিবেদন জামা দিয়েছেন।
গত ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের ঝরনায় রেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ঘটনাস্থলে ১১ জন ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায় ট্রেন।