হোম > ছাপা সংস্করণ

তিন জেলায় বন্ধ ৪৭ প্রতিষ্ঠান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাগেরহাট, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে ৪৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল রোববার ও গত শনিবার দিনব্যাপী পৃথক অভিযানে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে বৈধ কাগজপত্র প্রস্তুতের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাটে অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৯টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মোংলায় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। সিলগালা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাব্বি ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক, মুনতাহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দিগরাজ এলাকায় খান জাহান ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ফকিরহাটে ৭১ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চায়না ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফকিরহাট শিশু হাসপাতাল নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।

মোল্লাহাটে শিকদার বাদশা মিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নির্দেশ ও দুটি ক্লিনিককে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া গাংনি এলাকার মাল্টি কেয়ার সার্জিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করা হয়েছে।

কচুয়ায় হাজেরা খাতুন ক্লিনিক ও মালেক সুফিয়া ক্লিনিক সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শরণখোলায় দুটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার, মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার, হাসি ডেন্টালকে ৩০ হাজার, মুক্তা ডেন্টালকে ৩০ হাজার ও আল আমিন ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় মইনুল ইসলাম নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মোরেলগঞ্জে তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চিতলমারীতে ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পেমা প্যাথলজি সেন্টারকে সিলগালা ও বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় ১২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বাগেরহাট সদর উপজেলায়ও বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাফিজ আল আসাদ বলেন, জেলা সদর ও প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আইন অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে।  

ফরিদপুর জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার অবৈধ ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করেন।

জানা গেছে, অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা সদরের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সালথা উপজেলার তিনটি, মধুখালী উপজেলার সাতটি, বোয়ালমারী উপজেলার সাতটি ও সদরপুর উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কবির সরদার জানান, সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের বাবু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ঢাকা ডিজিটাল ল্যাব, সানজিদা ক্লিনিক, সুমি ক্লিনিক, একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডায়াবেটিক সমিতি ও মঈন ফেকো চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, উপজেলার আলনুর চক্ষু হাসপাতাল, সেতু সার্জিক্যাল, সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ল্যাবরেটরি, মীম ডায়াগনস্টিক, স্বর্না সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধনসহ যাবতীয় কাগজপত্র সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায় অভিযান চালায়ে ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রাজবাড়ীর পাংশায় গতকাল একটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন