আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রায় ৬০০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হলো বিশ্ব। গতকাল শুক্রবার ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়ের এই গ্রহণের চূড়ান্ত পর্যায় স্থায়ী হয় সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো। অবশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখা গেছে এক ঘণ্টার কিছু কম সময়।
পৃথিবীসহ সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরছে। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদসহ অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহগুলো আবার নিজ নিজ গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, নিজ নিজ কক্ষপথে চলার একপর্যায়ে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এক সরলরেখায় চলে আসে। তখন চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে। এই ছায়ায় চাঁদ যখন পুরোপুরি হারিয়ে যায়, তখন তা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। আর যখন চাঁদের ওপর পৃথিবীর আংশিক ছায়া পড়ে, তখন হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ ঘটে দুপুর ১২টা ১২ সেকেন্ডে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। চন্দ্রগ্রহণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় বেলা ৩টা ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। এ সময় চাঁদ লালচে কমলা রং ধারণ করে। বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সূর্যরশ্মি চাঁদের ওপর গিয়ে পড়ায় রুপালি চাঁদ এমন লালচে হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় চন্দ্রগ্রহণ বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। অন্যান্য বিভাগীয় শহরে কাছাকাছি সময়ে চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। মহাজাগতিক বিরল এই ঘটনার সাক্ষী হতে দেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গতকাল অনেকেই চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এর আগে শতাব্দীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে ২০১৮ সালে। সে সময় চন্দ্রগ্রহণ স্থায়ী হয়েছিল ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। আর এবারের মতো এমন দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ এর আগে হয়েছে ১৪৪০ সালে।