চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গতকাল শনিবার অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান চালিনো হয়। অভিযানে অবৈধ ক্লিনিগুলো বন্ধসহ সর্তকতা দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালাসহ ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।
অভিযান থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিন দিনের সময় বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকায় বেশ কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আওলিয়ার রহমান। অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টার, আমাদের সনো ও চুয়াডাঙ্গা আলট্রাসনোগ্রাফি সেন্টার সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া ইসলামি হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও তিশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মৌখিকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিযানের খবরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখে পালিয়ে যান মালিকেরা।
অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আওলিয়ার রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় ২৫টি ক্লিনিক ও প্যাথলজি চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সদর হাসপাতাল সড়কের বেশ কিছু ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির বলে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া মৌখিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
কুমারখালী : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযান কুমারখালী পৌর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন, থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার সহ স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সারা বাংলাদেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় কুমারখালীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রতীক আধুনিক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রতীক প্রাইভেট হাসপাতাল, প্রদীপ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার, শিমুল ডেন্টাল কেয়ার, কুমারখালী ডায়াবেটিক সমিতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নোভা ক্লিনিকও ডিসান ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নিয়মানুযায়ী পরিচালনার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে কুমারখালীতে অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন। অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, দুইটিকে কঠোরভাবে সতর্কীকরণ করা হয়। আর বাকী ৪ টাকে নিয়মানুযায়ী পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় প্রায় ২২ প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে ১২ টিতে অভিযান চালানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গুলোতে অভিযান হবে।