ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে ৩০ ভাগ সিলেবাস বহালের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী ঘারিন্দা পর্যন্ত এবং ঢাকামুখী করটিয়া বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেয় টাঙ্গাইলের সৃষ্টি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
সৃষ্টি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র সোহান বলেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ ভাগ সিলেবাস ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ সিলেবাসের সুযোগ রাখা হয়নি। করোনার কারণে আমরা পর্যাপ্ত ক্লাস ও লেখাপাড়া সুযোগ পায়নি। এ কারণে আমরা ৩০ ভাগ সিলেবাস বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।’
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইতিপূর্বে এ দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের শরণাপন্ন হই। তবে তেমন কোনো আশ্বাস না পাওয়া আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা ৩০ ভাগ সিলেবাস বহাল রাখার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানাব।’