হোম > ছাপা সংস্করণ

শাহজালাল বিমানবন্দর: অক্টোবরেই নতুন রাডার, বাড়বে নজরের সীমা

মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে অত্যাধুনিক রাডার। সিএনএস-এটিএম সিস্টেমসহ অত্যাধুনিক এই রাডারের টাওয়ার স্থাপনের ইস্পাতের কাঠামো ফ্রান্স থেকে এসে গেছে। রাডারঅক্ট জাহাজীকরণের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

এটিসি টাওয়ার এবং অপারেশন বিল্ডিংয়ের চলমান কাজ শেষে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাডার ও নেভিগেশন-ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। অক্টোবরে উদ্বোধন হলেও এই রাডার ও নেভিগেশনের পুরো সুবিধা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত। এই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭৩০ কোটি টাকার পুরোটাই নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে বেবিচক।

বেবিচক সূত্র বলেছে, অত্যাধুনিক এই রাডার-ব্যবস্থা চালু হলে উড়োজাহাজ চলাচল আরও নিরাপদ হবে। একই সঙ্গে নজরদারির আওতায় আসবে দেশের পুরো আকাশসীমা। এতে দেশে অবতরণ না করে যেসব উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে সেগুলো থেকেও ফি আদায় করা যাবে। ফলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

একবার আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য ‘ফ্লাইং ওভার ফি’ প্রায় ৫০০ ডলার। বর্তমানে ব্যবহৃত ৪৪ বছরের পুরোনো রাডার ও নেভিগেশন-ব্যবস্থার কারণে বঙ্গোপসাগরের বড় একটি অংশের পাশাপাশি দেশের পুরো আকাশসীমা নজরদারির আওতায় নেই। এতে ওভার ফ্লাইং ফি পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি থাকার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ।

এ প্রসঙ্গে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে আমরা রাডার প্রকল্পে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছি। বেবিচকের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়নে প্রকল্পটি দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। রাডার ব্যবস্থাপনার জন্য যে স্থাপনা, সেটির কাজ হয়ে গেছে।

ফ্রান্স থেকে রাডারের টাওয়ার স্থাপনের স্টিল স্ট্রাকচার চলে এসেছে। রাডারও সময়মতো চলে আসবে। এটিসি টাওয়ার এবং অপারেশন বিল্ডিংয়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাডার পুরোপুরি কার্যকর হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অক্টোবরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের সময় রাডার প্রকল্পও উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র বলেছে, বেবিচকের কমিউনিকেশন, নেভিগেশন, সার্ভিল্যান্স ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট আধুনিকায়নে ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিএনএস-এটিএম (কমিউনিকেশন, নেভিগেশন, সার্ভিল্যান্স ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) সিস্টেমসহ রাডার স্থাপন’ নামের এই প্রকল্প ২০২১ সালের ৮ জুন ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করে। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা। এই ব্যয় বেবিচকের নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করা হচ্ছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ফ্রান্সের রাডার প্রস্তুতকারী কোম্পানি থ্যালেসের সঙ্গে ২০২১ সালের অক্টোবরে চুক্তি করে বেবিচক। চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে রাডার স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে। অত্যাধুনিক এই রাডার পরিচালনার জন্য বেবিচকের কর্মকর্তাদের থ্যালেসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন