মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পশ্চিম আড়িয়ল খালের পানি শুকিয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। অপরিকল্পিত বাঁধ আর স্রোতের গতিপথ বদলের কারণে খালটির এই অবস্থা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে পশ্চিম আড়িয়ল খালটি। পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে অনেকে খালের ওপর বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে একসময় পুরো খালটি ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার কৃষি ও ব্যবসা নির্ভর করত এসব প্রবহমান খালের ওপর; কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ অস্তিত্ব-সংকটের মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ জলাভূমি। খালে পানি না থাকায় ও ভরাট হওয়ায় জমিতে সেচের কাজে পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এতে ফসলি জমিগুলো সময়মতো আবাদ করতে পারেন না অনেকে। এ-সংকট রোধে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয়রা এ খালের পানি সরবরাহ সচল, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও দ্রুত খনন করার দাবি জানিয়েছেন।
আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জামাল হোসেন বলেন, দিন-দিন খালের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে খালে পানি প্রবাহের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষিজমিতে এখন সময়ের পরে আবাদ করতে হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির হালদার বলেন, ‘খালের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।