ক্রীড়া ডেস্ক
ইন্টার মিলানের এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রাটা ইতালিয়ান অভিযাত্রী মার্কো পোলোর সমুদ্রযাত্রার মতো রোমাঞ্চকর। বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনার সঙ্গে মৃত্যুকূপে পড়া নেরাজ্জুরিরা একমাত্র দল যারা গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হেরেও ফাইনালে উঠেছে। সেমিফাইনালে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে হারিয়ে তাদের ইস্তানবুলে আসা। এ যাত্রার শেষটাকেও রোমাঞ্চকর করে তুলতে চায় ইন্টার।
১৩ বছর পর ফাইনালে ওঠা ইন্টারের ওপর এখন ইতালিয়ানদের দুঃখ মোছার দায়িত্বও। সর্বশেষ কোনো সিরি ‘আ’র ক্লাব চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ২০০৯-১০ মৌসুমে, সেটি ইন্টারই। এ মৌসুমে উয়েফার আরও দুই প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেছে ইতালির দুই ক্লাব। কিন্তু শিরোপা জেতা হয়নি রোমা ও ফিওরেন্তিনার। ‘আনলাকি থার্টিন’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইতালিয়ানদের উদ্যাপনের উপলক্ষ্য এনে দেওয়ার দায়িত্বটা এখন ইন্টারের কাঁধে।
প্রতিপক্ষ হোক না ম্যানচেস্টার সিটি, যতই কোচ পেপ গার্দিওলাকে সমীহ করুক ইনজাঘি—শেষটা তিনিই হাসতে চাইবেন। যেকোনো আসরে দুই দলের এটি প্রথম সাক্ষাৎ বলেই বাজির ঘোড়া ঠিক করা মুশকিল। তবে সিটি যদি হয় ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের নতুন দৈত্য, ইন্টারের রক্তে আছে অভিজাত রক্ত। তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে তারা। দিন ১২ আগে কোপা ইতালিয়া জিতে ফাইনালের মহড়াটাও দিয়ে রেখেছে ইন্টার।
ফাইনালে ইনজাগির অন্যতম অস্ত্র লাওতারো মার্তিনেজ। এক মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সুযোগ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। একই সুযোগ সিটির হুলিয়ান আলভারেজেরও। জাতীয় দল সতীর্থ হলেও ফাইনালের আগে দুজনের একদম কথাবার্তা হয়নি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সেই কথায় শোনালেন মার্তিনেজ, ‘আলভারেজের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। সম্প্রতি বিয়ে করেছি এবং তাকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। সে যোগ দিতে পারেনি।’
ইন্টারের রক্ষণভাগকে সামলাতে হবে আর্লিং হালান্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনাকে। তাঁদের একজন এ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১২) ও দ্বিতীয়জন করেছেন সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট (৭)।