রংপুরে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় এক সরকারি কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এমরান মিঞা (৩৩) নামে ওই ব্যক্তি নীলফামারী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. যাবিদ হোসেন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার মো. রফিক হাসনাইন জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামি ইমরান মিঞা নীলফামারী জেলার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আবু তালেব মিঞার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ইমরান মিঞা ও রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ার মোশারফ হোসেন খানের মেয়ে মাহমুদা মারজিয়া মুক্তা (৩০) চলতি বছরের মে মাসে ঢাকায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে দুই পরিবারের লোকজন আলোচনা সাপেক্ষে পুনরায় আগস্ট মাসে তাঁদের বিয়ের আয়োজন করেন। তবে ইমরানের পরিবারের এ বিয়েতে সম্মতি ছিল না। এরপর রংপুর নগরীর ধাপ লালকুঠি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন তাঁরা। পরবর্তীতে স্ত্রী মুক্তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইমরান। এতে মুক্তা রাজি না হলে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন তিনি। এ ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মুক্তা।