গত বছর ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’ ছিল ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায়। এবারও বছরশেষের হিসাব টানতে গেলে মাত্র দুটি নাম উঠে আসছে—‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’। ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এখন হয়ে গেছে উৎসবনির্ভর। দুই ঈদ ছাড়া সিনেমাগুলো তেমন দর্শক টানতে পারছে না হলে। প্রযোজক-পরিচালকেরাও বছরের অন্য সময়ের তুলনায় দুই ঈদে সিনেমা মুক্তি দিতে বেশি উৎসাহী। ফলে দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, একেক ঈদে পাঁচ-ছয়টি সিনেমা থাকছে মুক্তির তালিকায়। মানসম্পন্ন বাংলা সিনেমার সংকটে বছরের অন্য সময়ে হলগুলো ধুঁকেছে।
এ শূন্যস্থান কিছুটা হলেও পূরণ করেছে ভারতীয় সিনেমা। অনেক বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর দেশের হলে ভারতীয় সিনেমার মুক্তি শুরু হয়েছে। শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়। এরপর একে একে এসেছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’, ‘জওয়ান’, ‘অ্যানিমেল’, ‘মানুষ’ ও ‘ডানকি’। এখন হলমালিকদের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে এসব সিনেমা। প্রথম বছরে সিনেপ্লেক্সগুলো ছাড়া ভারতীয় সিনেমা দিয়ে সিঙ্গেল স্ক্রিন তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি বটে। তবে ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আগামী বছর দেশের হলে মুক্তি পাওয়া ভারতীয় সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশীয় সিনেমা এগিয়ে আসতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঢালিউড, এ আশঙ্কাও রয়েছে।
এ বছর দেশের হলে যেমন শাহরুখ, সালমান, রণবীর, জিৎরা এসেছেন; তেমনি বাংলাদেশের একাধিক তারকা ভারতে গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। জয়া আহসান ও বাঁধনের বলিউডযাত্রা ছিল বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। এ ছাড়া তাসনিয়া ফারিণ অভিনয় করেছেন টালিউডের ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমায়, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব করেছেন ‘চালচিত্র’, ‘পদাতিক’ দিয়ে টালিউডে কাজ শুরু করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শাকিব খান ভারতে গিয়ে করেছেন যৌথ প্রযোজনার ‘দরদ’, ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ। এ ছাড়া জাতির জনকের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলেছে সারা ভারতে।