বদরগঞ্জে গৃহবধূ শামসুন্নাহার বেগমকে (২৮) শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ লিচুগাছে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন তাঁর বন্ধু আমিনুর ইসলাম (৪০)। তিনি গত সোমবার রাতে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাংশু কুমার সরকারের আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শামছুন্নাহারের স্বামীর বাড়ি তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার কাজীপাড়া গ্রামে। তিনি গত বুধবার রাত ৮টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির অদূরে বদরগঞ্জের লিচুবাগানের গাছ থেকে তাঁর অর্ধ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর চাচা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গত শুক্রবার বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, শামছুন্নাহারের স্বামী জিয়ারুল হকের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড যাচাই করে দেখা যায়, ঘটনার রাতে সেখান থেকে একটি নম্বরে শামছুন্নাহারের কথা হয়। ওই নম্বরটি ধরে গত সোমবার ভোরে আমিনুরকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বাটুপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
আমিনুর জবানবন্দিতে জানান, তাঁর সঙ্গে ৮ থেকে ৯ মাস আগে শামছুন্নাহারের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত বুধবার রাতে তাঁরা একটি লিচুবাগানে দেখা করেন। এ সময় সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আমিনুর ক্ষুব্ধ হয়ে শামছুন্নাহারের গলায় প্যাঁচানো চাদর দুই দিক থেকে টেনে ধরেন। এতে শ্বাসরোধে শামছুন্নাহার মারা গেলে ওই চাদর দিয়ে লাশ লিচুগাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে তিনি চলে যান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনাথপুর হাসিনানগর গ্রামের ছায়াফ খাঁর মেয়ে শামছুন্নাহারের সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় তারাগঞ্জের জিয়ারুল হকের। সংসার জীবনে তাঁদের তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে শামছুন্নাহারকে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করা আমিনুরের স্ত্রীসহ দুটি সন্তান রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।