প্রতিটি বাড়িতে গবাদিপশু পালন এবং ফলের গাছ রোপণ করার আহ্বান জানিয়েছেন সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। গতকাল শনিবার মিঠাপুকুরে প্রাণিসম্পদ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলাটির আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। এতে সাংসদ আশিকুর প্রধান অতিথি ছিলেন।
আশিকুর রহমান বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কম সম্পদে অনেক বড় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এক সময় এ দেশে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হতো। আর এখন হয় প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টন। জমি বাড়েনি বরং কমেছে। মানুষও একই আছে। তারপরও উৎপাদন বেশি হচ্ছে কীভাবে? কৃষকেরা যেদিন থেকে জমিতে সার ব্যবহার করছেন, খেতে পানি সেচ দিচ্ছেন, ভালোমানের বীজ চিনেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু করেছেন, সেদিন থেকে কম জমিতে কয়েক গুণ বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
সাংসদ আশিকুর জানান, ধান-চালের মতোই কৃত্রিম প্রজনন ও উন্নত জাতের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করায় এখন আর আগের মতো পশু আমদানি করতে হয় না। দেশেই উৎপাদিত দুধে চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার। তিনি জানান, গবাদিপশু পালনের জন্য সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। তিনি খামারিদের আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। খামারিদের সেবাদানের ক্ষেত্রে সরকারের সব দপ্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান, জেলা পশুসম্পদ কার্যালয়ের প্রশিক্ষক বাবুল রায়সহ স্থানীয় খামারিরা।
আলোচনা পর্ব শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে সাংসদ আশিকুর রহমান মেলার বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।