রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইয়ের মেয়ে ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী রান্নায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি একটা লম্বা খাতায় ঠাকুরবাড়ির বিশেষ বিশেষ রান্নার রেসিপি লিখে রাখতেন। সেই খাতা সময়ের ধারাবাহিকতায় এসে পড়ে পূর্ণিমা ঠাকুরের হাতে। পূর্ণিমা ঠাকুর ছিলেন ঠাকুরবাড়িরই সদস্য নলিনী দেবীর মেয়ে। মায়ের কাছে শেখা রান্না আর সেই পুরোনো খাতার রেসিপি মিলিয়ে পূর্ণিমা ঠাকুর ১৯৮৬ সালে প্রকাশ করেন ‘ঠাকুরবাড়ির রান্না’ বইটি। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রান্নার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম মূলত সেই বই। ‘ঠাকুরবাড়ির রান্না’ বই থেকে দুটি পদ রইল আজ।
কুমড়ো ছেঁচকি
উপকরণ
মিষ্টিকুমড়া, রান্নার তেল, গোটা সরিষা ও সরিষাবাটা, শুকনো মরিচ, লবণ, চিনি, ধনেপাতা, নারকেল কোরানো।
প্রণালি
মিষ্টিকুমড়া কুচি করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা সরিষা ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিন। একটু নাড়াচাড়া করে কুচি করে রাখা কুমড়া কড়াইয়ে দিয়ে দিন। তারপর ভালো করে ভেজে নিন। এরপর সরিষাবাটা ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। প্রয়োজনে একটু পানি দিতে পারেন। বেশ মাখা মাখা হলে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে এপাশ-ওপাশ নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। পরিবেশনের সময় চাইলে
ওপরে কোরানো নারকেল ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
উপকরণ
সেদ্ধ মুরগির মাংস, ঘি, পেঁয়াজকুচি, আদা ও রসুনবাটা, টমেটো, লবণ, চিনি, হলুদ ও মরিচবাটা এবং ধনেপাতাকুচি।
প্রণালি
প্রথমে মাংস সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে বেশি করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজকুচির বাদামি রং হয়ে এলে তাতে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো হলে বেশি করে টমেটো কেটে লবণ, চিনি, হলুদ ও মরিচবাটা দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ করে রাখা মাংস দিয়ে দিন। সেদ্ধ মাংসের পানি অল্প অল্প মিশিয়ে মাংস কষিয়ে নিন। প্রায় শুকনো হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।